বিজয় দিবস অনুচ্ছেদঃ প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা, আজকে আমরা শিখবো কিভাবে বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ লিখতে হয়। তোমরা যারা ক্লাস ৬ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী রয়েছ, তাদের জন্য এই অনুচ্ছেদটি সামনের পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই তোমার শ্রেণি অনুযায়ী বাছাই করে শিখে ফেল বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ রচনা।
| পোস্টের বিষয়বস্তু | অনুচ্ছেদ লিখন |
| অনুচ্ছেদ-এর টপিক | বিজয় দিবস |
| প্রযোজ্য শ্রেণিসমূহ | ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯, এসএসসি, এইচএসসি |
| মোট নমুনা দেয়া আছে | ৩টি (১টি ছবিসহ) |
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ
আমাদের জাতীয় জীবনে ‘বিজয় দিবস’ বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা প্রাপ্তির অফিসিয়াল ঘোষণাকে বোঝায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন আমরা এই দিনে। আমাদের জাতীয় মুক্তি অর্জন করি। বর্বর পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা এই দিনটি পেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের দেশের সাহসী ছেলেরা স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদ।
আমরা তাঁদের সাহসী যুদ্ধ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত। বিজয় দিবস একটি জাতীয় দিবস এবং প্রতিবছর আমরা এদিনটি সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করি। সচরাচর আমি এই দিনটি ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করি। আমি শহীদদের বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করি। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে শহীদদের স্মৃতি আমাকে সবসময় উৎসাহিত করে। তাঁদের আত্মত্যাগ মাতৃভূমির মর্যাদা সম্বন্ধে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এই বিজয় অন্যায় অত্যাচার ও মিথ্যার বিরুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক।
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ
‘বিজয় দিবস’ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস এই দিনটিকে বিজয় দিবস বলি এই কারণে যে, আমরা এই দিনে আমাদের জাতীয় মুক্তি অর্জন করি। বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা এই দিনটি পেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের দেশের বীর সাহসী সন্তানরা স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন । তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শহিদ। আমরা তাঁদের দুঃসাহসী যুদ্ধ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য আসলেই গর্বিত
বিজয় দিবস আমাদের একটি জাতীয় দিবস এবং প্রতিবছর বিজয় দিবসটি সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করি। আমরা এই দিনটি গভীর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অনুভব করি। সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া প্রার্থনা করি। দেশের জন্য ভালো কিছু করার জন্য শহিদদের স্মৃতি আমাদের সবসময় উৎসাহিত করে। তাঁদের আত্মত্যাগ মাতৃভূমির মর্যাদা সম্বন্ধে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের এই মহান বিজয় অন্যায়, অত্যাচার ও মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্য-ন্যায়-সাম্য ও মানবতার বিজয়ের প্রতীক।
আরো পড়তে পারেনঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ
আমাদের জাতীয় জীবনে একটি মহিমান্বিত ও গৌরবদীপ্ত দিন বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করেছিল । তাই এ দিনটি মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন- মহান ‘বিজয় দিবস’ । ১৯৪৭ সাল থেকেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় বারবার । আর প্রতিবারেই এ দেশের মানুষ তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়েছে, তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে নস্যাৎ করে দিয়েছে সব ষড়যন্ত্র । ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে এ দেশের মানুষ অজস্র রক্ত ও জীবন দিয়েছে।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করলেও ষড়যন্ত্রকারী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা তালবাহানা করতে থাকে। এ অবস্থায় এ দেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের সমাবেশে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দিয়ে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ সময় সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে। পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে ঘুমন্ত নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির উপর চালায় নির্মম হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করার পূর্ব মুহূর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণ আর ২ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারায়, ধ্বংস হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর সম্পূর্ণভাবে পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবময় দিনটি আমরা আনন্দ-বেদনায় স্নাত হয়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করি। একটি প্রগতিশীল, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনের প্রেরণার উৎস মহান বিজয় দিবস।
তোমাদের পড়ার সুবিধার্থে বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ এর কিছু নমুনাতে আমরা ভাগ ভাগ করে লিখে দিয়েছি, কিন্তু তোমরা পরীক্ষার খাতায় একটা প্যারাতেই লিখবে। তোমাদের পরীক্ষার জন্য শুভ কামনা, দেখা হবে পরবর্তী কোন অনুচ্ছেদ লিখনে।



