জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ লিখন – ক্লাস ৫,৬,৭,৮, এসএসসি ও এইচএসসি

জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ

জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ: তোমরা অনেকেই জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি খোজতেছ, তাই আজকে আমরা জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ ৪টি ভ্যারিয়েন্টে লিখেছি। এর সাথে ৩টি ইমেজও যুক্ত করে দিয়েছে, যাতে তোমরা অফলাইনেও পড়তে পার। তাহলে দেরি কিসের এখনি শিখা আরম্ভ করে দাও।

পোস্টের বিষয়বস্তুঅনুচ্ছেদ লিখন
অনুচ্ছেদ টপিকজাতীয় পতাকা
প্রযোজ্য শ্রেণিসমূহক্লাস ৫, ৬, ৭, ৮, এসএসসি, এইচএসসি
মোট নমুনা দেয়া আছে৪টি

জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ

আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক। এর আকৃতি আয়তক্ষেত্রের মতো। এতে সবুজের মাঝে একটি লাল বৃত্ত রয়েছে। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো ১০ঃ ৬ । প্রয়াত শিল্পী কামরুল হাসান এর নকশা তৈরি করেন। এটি বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উত্তোলন করা হয়। ১৯৭১-এর ২ মার্চ সর্বপ্রথম এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তোলন করা হয়। তখন ঐ পতাকার নকশা কিছুটা ভিন্ন ছিল। বাংলাদেশের মানচিত্রটি তখন পতাকার মাঝখানে ছিল।

পরবর্তীকালে জাতীয় পতাকা থেকে বাংলাদেশের মানচিত্র বাদ দেওয়া হয়। আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের পরিচয়বাহী। দেশের সম্মান রক্ষার্থে এটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। জাতীয় পতাকা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। প্রায় ৩০ লাখ মানুষের শহিদ হওয়ার বিনিময়ে আমরা এ পতাকা অর্জন করেছি। প্রকৃতপক্ষে এটি এক টুকরা কাপড়ের তৈরি হলেও এটি রক্তে নির্মিত আমাদের দেশের স্বাধীন পতাকা।

আমাদের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ

জাতীয় পতাকা একটি জাতির, স্বাধীনতার প্রতীক। আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক । আমাদের জাতীয় পতাকা দেখতে খুবই সুন্দর। এটি আকারে আয়তাকার। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ৫ : ৩। এটা সবুজ ও লাল রঙের কাপড়ে তৈরি । আমাদের জাতীয় পতাকার পটভূমি গাঢ় সবুজ। মধ্যভাগে একটি লাল বৃত্ত আছে। আমাদের জাতীয় পতাকা একটা গভীর অর্থ বহন করে। সবুজ রঙ বাংলাদেশের সবুজ খেত/খামারকে বোঝায়। আমরা রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।

অনেক লোক আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কাজেই পতাকার মধ্যভাগের লাল রঙ শহীদদের রক্তের প্রতীক। এটা আমাদের ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকাকে বিবেচনা করি। আমরা এ নিয়ে গর্বিত। যখন আমরা এর দিকে তাকাই তখন আমাদের হৃদয় দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় ভরে উঠে। আমরা আমাদের জাতীয় কর্তব্য যথার্থভাবে সম্পাদন করে দেশের সম্মান রক্ষা করতে পারি । এটা আমাদের কাছে জীবনের চেয়েও অধিকতর প্রিয়।

অন্য অনুচ্ছেদ পড়ুনঃ বইমেলা অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ

জাতীয় পতাকা একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের আলাদা জাতীয় পতাকা রয়েছে। সাধারণত এক খণ্ড কাপড় দিয়ে জাতীয় পতাকা তৈরি করা হয়। এর আকার সুনির্দিষ্ট। আয়তাকার পতাকাই বেশি। যে দণ্ডের সঙ্গে পতাকাটি বেঁধে টাঙানো হয়, সেই দণ্ডকে বলে পতাকা-দণ্ড। সরকারি অফিস-আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া জাতীয় দিবসগুলোতে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা শোভা পায়। আন্তর্জাতিক খেলাধুলার সময়ে কোনো দেশের খেলোয়াড়দের সমর্থন করার সময়ে সমর্থকেরা সেই দেশের পতাকা উড়িয়ে থাকে।

জাতীয় শোক দিবসে এবং সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী কোনো শোক পালন করার সময়ে জাতীয় পতাকাকে অর্ধনমিত করা হয়, অর্থাৎ পতাকা দণ্ডের উপর দিকে পতাকার প্রস্থের সমান অংশ বাদ দিয়ে পতাকাটি টাঙানো হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬ । এর পাঁচটি পরিমাপ রয়েছে – ১০ ফুট : ৬ ফুট, ৫ ফুট : ৩ ফুট, ২.৫ ফুট : ১.৫ ফুট, ১৫ ইঞ্চি : ৯ ইঞ্চি, এবং ১০ ইঞ্চি : ৬ ইঞ্চি। ‘প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা হইতেছে সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত’। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সবুজ রং সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যকে নির্দেশ করে এবং উদীয়মান সূর্যের মতো এর লাল বৃত্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের নির্দেশ করে।

জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ – এইচএসসি

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ । অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীনতা। সবুজ-শ্যামল বাংলার রক্ত রঞ্জিত ইতিহাসের সাক্ষী আমাদের জাতীয় পতাকা । সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গৌরবের মহান প্রতীক । জাতীয় পতাকা আয়তাকার । এর দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত ১০ঃ ৬ । পতাকার মাঝে লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক পঞ্চমাংশ । প্রস্থকে সমান দুভাগ করে প্রত্যেক ভাগকে এক ইউনিট মনে করতে হবে । পতাকার দৈর্ঘ্যের ডান দিকে সাড়ে পাঁচ ইউনিট এবং বামে চার ইউনিট রেখে একটি লম্ব টানতে হবে । প্রস্থকে সমান দুভাগে ভাগ করে একটি সমান্তরাল সরল রেখা টানতে হবে । এই দুই রেখার মিলনস্থল লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু হবে।

পতাকার আকার ভবনের জন্য হবে ১০ঃ ৬ ফুট, ৫ঃ ৩ ফুট, ২.৫ ফুট । মোটর গাড়ির জন্য ১৫ঃ ৯ ইঞ্চি, ১০ঃ ৬ ইঞ্চি । জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার প্রতীক বলে জাতীয় চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা দরকার । জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে হয় । জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । জাতীয় পতাকা জাতীয় শোক দিবসে অর্ধনমিত রাখা হয় । জাতীয় পতাকার অবমাননা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । তাই জাতীয় পতাকার সঠিক ব্যবহার জেনেই পতাকা উত্তোলন করা উচিত।

জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ এর আজকে এই পর্যন্তই, আশা করি তোমাদের সকল শ্রেণির জন্যই এটা উপকারি হবে। তাহলে দেখা হচ্ছে অন্য কোন অনুচ্ছেদ লিখনে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top