পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ – ক্লাস ৬ টু এইচএসসি

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ: আজকে আমরা শিখবো পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাবসম্প্রসারণ, যার ৫টি অসাধারণ নমুনা লেখা হয়েছে। এখানে তুমি যেই ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রীই হও না কেন, শিখতে কোন সমস্যা হবে না। কারণ আমরা সকল সাইজের সকল ক্লাসের জন্যই প্রস্তুত করেছি। তাই দেরি না করে শিখে নাও গুরুত্বপূর্ণ আজকের এই ভাব সম্প্রসারণ।

পোস্টের বিষয়বস্তুভাবসম্প্রসারণ লিখন
ভাবসম্প্রসারণ টপিকপুষ্প আপনার জন্য ফোটে না
প্রযোজ্য শ্রেণিসমূহক্লাস ৬,৭,৮, এসএসসি, এইচএসসি
নমুনা আছে৫টি

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ-১

মূলভাব: প্রকৃতির সর্বৈব প্রতিবন্ধকতাকে দু-পায়ে মেড়ে ফুলকে ফুটতে হয়। ফুল সব বাধা পেরিয়ে বিকশিত হয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং সৌরভ ছড়ায় নিজে ভোগ করার জন্য নয়। ফুল আপনাকে উজাড় করে মেলে ধরে অন্যের জন্য। ফুল নিজের জন্য নয়, অপরের জন্য নিবেদিত।

ভাবসম্প্রসারণ: বিশ্বপ্রকৃতি আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার, সৌন্দর্যের পীঠস্থান। সৌন্দর্যমণ্ডিত এ পৃথিবীর বহু উপাদান রয়েছে- যা নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়ে মানবমনে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে ধন্য হয়; যেমন-ফুল। ফুল তার ভেতরকার সব রং ও মনমাতানো সৌন্দর্য ছড়িয়ে প্রকৃতিকে মনোহর করে তোলে। যে সৌন্দর্য ও শোভায় আমরা মুগ্ধ হই ফুল সে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে, সে সুবাস ছড়ায় এবং তার ভেতরকার যে সুধা লুকিয়ে রাখে তা মানবজীবনকে সুখময় করে, আনন্দ প্রদান করে এবং মধুকরকে করে তৃপ্ত। ফুলের এ সৌন্দর্য তিলতিল করে ভোগ ও পান করে প্রকৃতি ও প্রাণী। কিন্তু ফুল নিজস্বার্থে তা ব্যবহার করে না। সে মানবমনকে ও মধুকরের জীবনকে তৃপ্ত করে। তেমনি আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত ফুলের কাছ থেকে। ফুল আমাদের জ্ঞানচক্ষু খুলে দেয়। ফুল যেমন নিঃস্বার্থভাবে তার জীবন অন্যের জন্য উৎসর্গ করে, আমাদেরও তেমনি উচিত নিজের জীবন ফুলের মতো অপরের জন্য উৎসর্গ করা। আপন স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে, জীবনকে হীন না করে ফুলের মতো সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়িয়ে মানবজীবন ধন্য করা উচিত।

মূলত, পরোপকারই মানবজীবনের মৌল প্রত্যয়। মানবজীবনের সাফল্য পরহিতেই নিহিত। ফুলের মতো মানুষের জন্মও অন্যের কল্যাণে। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অন্যের মঙ্গল সাধনায় বিচার্য। ফুলের পবিত্রতায় ও ত্যাগে মানুষের জীবন রাঙানো উচিত। ফুলের সৌরভ, সৌন্দর্য, মৌচাকের মধু, বৃক্ষের ফল, নদীর জল, গাভির দুধ, পুড়ে পুড়ে ধুপের গন্ধ ছড়ানো- এমন সবই আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণে উৎসর্গীকৃত। মানুষের জীবনও তথৈবচ। বৃক্ষের ফুল ফোটানোর মতো যন্ত্রণা সহ্য করে উন্নত জীবন গড়ে সে জীবন ফুলের মতো মানবকল্যাণে বিসর্জন দেওয়ার মধ্যেই মনুষ্য জীবনের সর্বৈব সাফল্য নিহিত ।

মন্তব্য: ফুলের মতো নিজেকে অপরের জন্য বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই মানবজীবনের সাফল্য।

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ-২

ভাবসম্প্রসারণ: ফুলের মতই মানুষের জীবন। ফুল যেমন সুবাস ছড়িয়ে তার চারিদিকে আমোদিত করে, সৌরভ ছড়ানোর মধ্যেই নিজের সার্থকতা খুঁজে পায় । তদ্রুপ ভাল মানুষও অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারলেই জীবন সার্থক মনে করে ।

সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিঃশেষে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যে আছে পরম সুখ, অনির্বচনীয় আনন্দ ও অপরিসীম পরিতৃপ্তি। পুষ্প যেন মানব্রতী জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। সে কখনো নিজের প্রয়োজনে ফোটে না। নিজের সৌরভ ও সৌন্দর্য সকলকে বিলিয়ে দিয়ে মোহিত করে। ফুলের সৌরভ ও সৌন্দর্য তার নিজের হলেও সকলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েই ফুল সার্থকতা লাভ করে । মানুষও অনেকটা ফুলের মতই নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পেতে চায়। সেজন্য মানুষের চারিত্রিক মাধুর্যও হওয়া উচিত ফুলের মতই সুন্দর ও সুরভিত, পবিত্র ও নির্মল। ফুলের মতই নিবেদিত হওয়া উচিত পরের জন্যে, সমাজের স্বার্থে। মানুষ শুধু ভোগ-বিলাস ও স্বার্থের জন্যেই জন্মগ্রহণ করেনি। পরের কল্যাণ সাধন করাই তার লক্ষ্য হওয়া উচিত।

জগতের সাধু ও মহৎ ব্যক্তিগণও তাই করে থাকেন। তাঁরা সর্বদা পরের হিত সাধনে ব্যাপৃত থাকেন এবং পরের তরে জীবন বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। কেননা প্রেম-প্রীতি, ভালবাসা ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহারের মাধ্যমেই সমাজ সুন্দর ও সার্থক হয়ে ওঠে। মহৎ ব্যক্তিগণ বিশ্বমানবের জন্য, কারও একার জন্য নন, কিংবা নিজের জন্যও নন। তাঁরা সকলের প্রিয় এবং সকলের আপনজন। তাঁদের জীবন পুস্পের ন্যায় পরার্থে উৎসর্গীকৃত। সব মানুষ যেদিন ফুলের আদর্শ অনুসরণ করে পরের কল্যাণে জীবনকে বিলিয়ে দিতে পারবে সেদিনই সমাজজীবনে দুঃখ, যন্ত্রণা, বৈষম্যের অবসান হবে। মানুষের জীবন হয়ে উঠবে আনন্দঘন ও কল্যাণময়। তাই মানুষকে ব্যক্তিস্বার্থের কথা না ভেবে সবার স্বার্থের কথা ভাবতে হবে।

পরার্থপরতা মানুষের বিশিষ্ট গুণ হওয়া, মানুষের সঙ্গে জীবজন্তুর তফাত এখানেই। মানুষ এজন্য সৃষ্টির সেরা জীব। অর্থাৎ ফুল যেমন নিজের জন্য ফোটেনা, মানুষেরও তেমনি নিজের জন্য জন্মানো উচিত না।

এছাড়াও পড়তে পারোঃ ভাবসম্প্রসারণ স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাবসম্প্রসারণ-৩

ভাব-সম্প্রসারণ: পরোপকারেই মানবজীবনের সার্থকতা । মানুষের জন্ম হয়েছে অন্যের কল্যাণ সাধনের জন্য । শুধু নিজেকে নিয়ে নিমগ্ন থাকা মনুষ্যত্বের অবমাননার নামান্তর । ফুল যেমন নিজের সৌন্দর্য, সুবাস অন্যকে বিলিয়ে দিয়ে তার জীবন পরিপূর্ণ করে তেমনই অপরের মঙ্গল সাধনায় মানবজীবন ধন্য হতে পারে ।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ । এই শ্রেষ্ঠত্বের পিছনে বড়ো যে গুণটি রয়েছে তাই হলো অপরের মঙ্গল-সাধন করা । নিজের স্বার্থ বড়ো করে দেখার মধ্যে মানুষের মনুষ্যত্ব বিকশিত হয় না বরং সংকুচিত হয় । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকের বিশ্বে মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, অপরের মঙ্গল-সাধন করা তো দূরে থাক; এ চিন্তাও করতে ব্যর্থ । দুনিয়াব্যাপী স্বার্থপর সম্প্রদায় নিজেদের সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েস নিয়ে যতটা তৎপর, সেখানে মানুষের কল্যাণের বিষয় মোটেই গুরুত্ব বহন করে না । বরং সর্বগ্রাসী ভোগবাদীরা সমস্ত নিয়ম-নীতিকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের স্বার্থের প্রাসাদ তৈরি করে । ফলে পৃথিবীতে শোষিত-বঞ্চিত, দারিদ্র্য-পীড়িত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে । কিন্তু মানুষের স্বভাব তো এ রকম হওয়ার কথা নয় । বরং ফুলের পবিত্রতায় তার মনকে রাঙাবে, মানুষকে ভালোবেসে তার মানবজীবন সার্থক করে গড়ে তুলবে ।

মানবজীবন ফুলের মতোই তা নিবেদিত হওয়া উচিত পরের জন্য, সমাজের হিত সাধনে । পরের কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্যেই থাকে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা । তাই পরোপকার সাধনই মানবজীবনের মহত্তম কাজ । আমরা প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে বিষয়টি যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে পারি । মৌমাছি অনেক কষ্ট করে যে মৌচাক রচনা করে, তা কি শুধু তাদেরই জন্য? তা নয় বরং, মৌচাকের মধু মানুষ পান করে পরম তৃপ্তি লাভ করে । সুতরাং মানুষের জীবনে পরোপকারের চেয়ে বড়ো আর কিছু নেই । তাইতো, জ্ঞানী-গুণীরা পরোপকারের উদ্দেশ্যে জীবন বিসর্জন দিতে মোটেই ভীত হননি । খুদিরাম, প্রীতিলতা, সূর্যসেনসহ অনেকের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে আজও উচ্চারিত হয় । এ প্রসঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মদানও চিরস্মরণীয় হয়ে আছে । কিন্তু আজ বিশ্বায়নের এ সময়ে পরোপকারের বিষয়টি প্রাধান্য না পেয়ে বরং বৈশ্বিক চিন্তা-চেতনায় মানুষ বেশি নিমগ্ন হচ্ছে । তথ্য-প্রযুক্তি মানুষকে অনেকটা যান্ত্রিক করে তুলেছে; মানুষ উদয়-অস্ত নিরলস পরিশ্রম করে প্রচুর অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছে; তবে, সেখানে মানবকল্যাণের লেশমাত্র ঠাঁই নেই । মানুষের সুকোমলবৃত্তি চর্চার জায়গাটি অর্থ-বিত্তের দখলে । তাই অত্যন্ত শৈশব থেকেই শিশুদের পরোপকারের শিক্ষা দিতে হবে। পাঠ্যসূচিতে বিভিন্ন মহৎ ব্যক্তির ঘটনাবহুল জীবনী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পরোপকারের শিক্ষাই মানুষকে পরিশীলিত জীবন দিতে পারে ।

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে পরোপকারের মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত থাকে । তাই মানুষের কল্যাণ সাধনই হোক সকলের ব্রত।

ভাব সম্প্রসারণ পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না-৪

ভাব-সম্প্রসারণ: পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুকণা ও জীবজগৎ একে অপরের প্রয়োজনে সম্পৃক্ত। প্রতিটি মানুষ সত্য, সুন্দর ও কল্যাণময় কাজের মাঝে বেঁচে থাকে। ফুল নিজের সুবাস সৌরভকে কেবল নিজের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে না। সে আপন আনন্দে প্রস্ফুটিত হয় এবং বাতাসের সাহায্যে আপনার সুস্নিগ্ধ সৌরভকে ছড়িয়ে দেয় চারদিকে। ফুলের সেই সুবাসে আমোদিত, বিমুগ্ধ হয় অলির দল ও সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ । ফুলের এই ফুটে ওঠা এবং সুগন্ধ বিস্তারের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার প্রবৃত্তিই কার্যকর দেখা যায়। তার শোভা-সৌন্দর্য-গন্ধ কিছুই সে নিজে ভোগ করে না। পরের মনে আনন্দ দান করাতেই তার আনন্দ। তাতেই সে সার্থক।

একথা সত্য যে, বিশ্বের কল্যাণ-ব্রত উদযাপনই জীবনের চরম সার্থকতা। যে মানুষ আত্মসুখ সর্বস্বতার মধ্যে নিজেকে বন্দি রাখে তার জীবন ব্যর্থ। কারণ, এ স্বার্থ গণ্ডিবদ্ধ জীবনের বাইরে পড়ে আছে বিশাল পৃথিবী । সেখানে আছে অগণিত মানুষ। আর প্রতিটি মানুষের জীবনেই রয়েছে নানাবিধ দুঃখ, হতাশা, অপ্রাপ্তির বেদনা। তাই প্রকৃত মানুষ হয়ে স্বার্থের রুদ্ধদ্বার খুলে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দুঃখকে তুচ্ছজ্ঞান করে অপরের দুঃখ মোচনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। স্বার্থ-সংকুচিত, হিংসা-কুণ্ঠিত হৃদয়ে সুখের সন্ধান পাওয়া যায় না। পুষ্পসদৃশ মানুষেরা পৃথিবীতে শুধু নিজেদের জন্য জন্মগ্রহণ করেন না। এঁদের জীবনধারা ও মৃত্যুবরণ সমস্ত কিছুই সকল মানুষের জন্য, মানবসমাজের জন্য। সেখানেই এঁদের জীবনের পরম সার্থকতা। ফুল যেমন নিঃস্বার্থভাবে সৌন্দর্য ও সৌরভ বিলিয়ে মানুষের প্রিয় হয়, তেমনি মানুষও মানুষের কল্যাণে জীবন, কর্ম উৎসর্গ করে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে ।

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাবসম্প্রসারণ-৫

ভাব-সম্প্রসারণ: অপরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্যেই জীবনের পরম সার্থকতা। ফুল যেমন তার সুগন্ধ ও সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অকাতরে, তেমনি মহান ব্যক্তিরাও সবার মঙ্গলের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেন।

ফুলের সৌন্দর্য, তার বাহারি রূপ ও সুবাস সব সৌন্দর্যপিপাসু মানবহৃদয়কে আকৃষ্ট করে। ফুলপ্রেমিকেরা ফুল দিয়ে ঘরের শোভা বৃদ্ধি করেন, প্রিয়জনকে উপহার দেন। ভ্রমর ফুল থেকে মধু আহরণ করে। যে ফুল সকালে ফোটে সে ফুল সারাদিন তার সৌন্দর্য ও সৌরভ চারদিকে ছড়িয়ে দিনান্তে নিঃশেষ হয়ে যায়। নিজের জন্য সে কিছুই অবশিষ্ট রাখে না । তাই ফুল সবাই ভালোবাসে । এই পৃথিবীতে ফুলের মতো রয়েছে অসংখ্য মহান ব্যক্তি। তাঁরা পরের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য তাঁদের জীবন, যৌবন, অর্থসম্পদ সবকিছু বিলিয়ে দেন । ফুল যেমন তার সর্বস্ব পরের জন্য বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পায়, তেমনি মহৎ ব্যক্তিরা অপরের কল্যাণে নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ লাভ করেন । তাঁরা মনে করেন আসলে পরের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সুখ-শান্তি।

এসব ব্যক্তি নিজেদের সুখ-শান্তি কিংবা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য ভাবেন না। বরং কীভাবে অপরের মঙ্গল ও কল্যাণ করা যায়- এ চিন্তা ও কাজেই নিজেদের নিয়োজিত রাখেন । অপরের দুঃখ-কষ্ট, অপরের অকল্যাণ তাঁদের মনকে ব্যথিত করে । মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গল করাই মহৎ ব্যক্তিদের একমাত্র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। মানবতা ও মানবিকতাই তাঁদের আরাধ্য বস্তু । এসব ব্যক্তি সারাজীবন নিরলসভাবে জগতের মঙ্গল সাধনের জন্য কাজ করে পৃথিবীতে স্মরণীয় ও বরণীয় হন । মহৎ ও কল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়েই তাঁরা পৃথিবীতে চিরদিন সবার শ্রদ্ধা নিয়ে বেঁচে থাকেন। তাঁরা সবার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। যুগে যুগে এসব মহান ব্যক্তির আগমনে পৃথিবীর মানুষ ধন্য হয় আর সমগ্র পৃথিবীও এসব মহাত্মার আদর্শে বিস্ময়ে হতবাক হয়।

ফুলের কাছ থেকে অপরকে মুগ্ধ করার শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকেও দেশ ও মানুষের সেবায় উৎসর্গ করতে হবে। তাহলেই মানবজীবন সুন্দর, সার্থক ও সফল হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top