পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ: আজকে আমরা নতুন একটি ভাবসম্প্রসারণ শিখবো, ভাবসম্প্রসারণটি হল- পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। তোমাদের অনেকের কাছেই এটি খুবি পরিচিত একটি ভাবসম্প্রসারণ। কারণ এটি প্রায়ই বিভিন্ন পরিক্ষায় আসতে দেখা যায়। তাহলে আর দেরি কেন, শিখে নাও গুরুত্বপূর্ণ এই পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ।
| পোস্টের বিষয়বস্তু | ভাবসম্প্রসারণ লিখন |
| ভাবসম্প্রসারণ টপিক | পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি |
| প্রযোজ্য শ্রেণিসমূহ | ক্লাস ৬,৭,৮, এসএসসি, এইচএসসি |
| নমুনা আছে | ৫টি |
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ – ক্লাস ৬
ভাব-সম্প্রসারণ: প্রত্যেক মানুষেরই সৌভাগ্য কাম্য, কিন্তু পরিশ্রম ছাড়া তা অর্জন অসম্ভব। শ্রমই মানুষের জীবনে সৌভাগ্যের জয়চিহ্ন এঁকে দেয়। তাই পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।
পরিশ্রম সাধনায় সিদ্ধি এনে দেয়। বিদ্যার্থী যথারীতি পরিশ্রম করে যেমন বিদ্যা অর্জন করে, তেমনি ধন-মান ইত্যাদিও অর্জন করতে পারে। মানবজীবন সংগ্রামের জীবন। সেই সংগ্রামে টিকে থাকতে হলে, জয়লাভ করতে হলে, পরিশ্রমকে প্রধান হাতিয়াররূপে বরণ করে নিয়ে সেই পথে অগ্রসর হতে হবে। এই কর্মময় সংসারে ভাগ্য বলে কোনো অলীক সোনার হরিণের সন্ধান অদ্যাবধি মেলেনি। বাহ্যদৃষ্টিতে মানুষ যাকে ভাগ্যদেবী নামে অভিহিত করে, তা মূলত মানুষের প্রাণান্ত প্রচেষ্টারই ফসল।
মানুষ নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত ত্যাগ স্বীকারের বদৌলতে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করে। কর্মবিমুখ ব্যক্তি অলস চিন্তার প্রশ্রয়ে যা কিছু চিন্তাভাবনা করে তা আকাশ-কুসুম রচনার মতোই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মানব ইতিহাস থেকে প্রমাণ মেলে যে, সৃষ্টির প্রারম্ভিক স্তরে অসহায় মানুষ যখন হিংস্র প্রাণীর উপদ্রব ও বৈরী প্রকৃতির নির্মমতার হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য বুকফাটা আর্তনাদ শুরু করেছিল তখন মানুষই একে অন্যের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় বৈরী প্রকৃতির সাথে নিরলস সংগ্রাম করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। পরিশ্রমের দ্বারাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে উন্নতি আসে। শ্রমহীন অলস ব্যক্তির জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কাজেই পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতিস্বরূপ।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ – ক্লাস ৭
ভাব-সম্প্রসারণ: শ্রমই মানুষের জীবনে সৌভাগ্যের দ্বার খুলে দেয়। প্রতিটি মানুষেরই সৌভাগ্য কাম্য কিন্তু পরিশ্রম ছাড়া তা অর্জন অসম্ভব।
পরিশ্রম সাধনায় সিদ্ধি এনে দেয়। বিদ্যার্থী যথারীতি পরিশ্রম করে। সে যেমন বিদ্যা অর্জন করে, তেমনি ধন, মান ইত্যাদিও অর্জন করতে পারে। মানবজীবন সংগ্রামের জীবন। সে সংগ্রামে টিকে থাকতে হলে, জয়লাভ করতে হলে, পরিশ্রমকে প্রধান হাতিয়াররূপে বরণ করে নিয়ে সেপথে অগ্রসর হতে হবে। এই কর্মময় সংসারে ভাগ্য বলে কোনো অলীক সোনার হরিণের সন্ধান অদ্যাবধি মেলেনি। বাহ্যদৃষ্টিতে মানুষ যাকে ভাগ্যদেবী নামে অভিহিত করে, তা মূলত মানুষের প্রাণান্ত প্রচেষ্টারই ফসল। মানুষ নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত ত্যাগ স্বীকারের বদৌলতে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি হাসিল করে।
কর্মবিমুখ ব্যক্তি অলস চিন্তার প্রশ্রয়ে যা কিছু চিন্তা-ভাবনা করে তা আকাশ কুসুম রচনার মতোই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ভাগ্যদেবী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কারও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান করে দিয়েছেন এমন নজির মর্তলোকে মেলে না। মানব ইতিহাস থেকে প্রমাণ মেলে যে, সৃষ্টির প্রারম্ভিক স্তরে অসহায় মানুষ যখন হিংস্র প্রাণীর উপদ্রব ও বৈরী প্রকৃতির নির্মমতার হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য বুকফাটা আহাজারি শুরু করেছিল, তখন কোনো ঐশীশক্তি বা দেবতা তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তখন মানুষই একে অন্যের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় বৈরী প্রকৃতির সঙ্গে নিরলস সংগ্রাম করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। তাই নিঃসংশয়ে একথা বলা যায় যে, পরিশ্রমের দ্বারাই সৌভাগ্য অর্জন করা যায়; পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।
পরিশ্রমের দ্বারাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে উন্নতি আসে। অন্যদিকে শ্রমহীন অলস ব্যক্তির জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
আরো দেখতে পারেন: দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ – ক্লাস ৮
ভাব-সম্প্রসারণ: মানবজীবনে সৌভাগ্য সহজে আসে না। কিন্তু সকলেরই সৌভাগ্য কাম্য । একে অর্জন করতে হলে নিরলস শ্রম আর একনিষ্ঠ সাধনার একান্ত প্রয়োজন । বিনা পরিশ্রমে সৌভাগ্য অর্জন করা যায় না।
পৃথিবীর সকল কাজের পেছনে শ্রম একটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। শ্রম ব্যতীত কখনোই কোনো কাজ সম্পন্ন হয় না। অর্থ-বিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জনের মূলে শ্রমই মূখ্য। শ্রম আছে বলে আজ পৃথিবী এ সভ্যতায় পৌঁছাতে পেরেছে। পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত জাতির উন্নতির মূল কারণ তাঁদের পরিশ্রম। পরিশ্রম বিমুখ জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না । তাই ব্যক্তিজীবন কিংবা সাংসারিক জীবনে উন্নতির জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য। কিন্তু এক্ষেত্রে কারো কারো ধারণা এমন যে, সৌভাগ্য অর্জন শুধু স্রষ্টা প্রদত্ত ব্যাপার; বিধাতা যাকে সৌভাগ্যবান হিসেবে পাঠাবেন তার কোনো পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। বস্তুত এরূপ বদ্ধমূল ধারণা থেকেই মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে কিছু লোককাহিনি; যেগুলোর অধিকাংশে রয়েছে দৈবলব্ধ অর্থ প্রাপ্তি কিংবা ধনলাভ। আর শ্রম-বিমুখ মানুষেরা এসমস্ত বিশ্বাসে নিজেদের কল্পনার জগতে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাই এদের কাছে শ্রম প্রাধান্য পায় না, বরং কল্পনায় সস্তা পথ খোঁজে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য। কিন্তু শ্রমের বিকল্প যে কিছুই হতে পারে না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শ্রমই একমাত্র পথ। আর শ্রমকে বাদ রেখে সফলতা অর্জন দুরাশামাত্র।
একটি কথা প্রচলিত আছে- ‘পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ’- কথাটি যথার্থ। শ্রমবিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে নিয়ে আসে চরম অভিশাপ। ভাগ্যে নেমে আসে অমানিশার ঘন আঁধার। আর অবিরাম শ্রমের মধ্য দিয়ে আমরা অনায়াসে দারিদ্র্যকে জয় করে সফলতা অর্জন করতে পারি । সুতরাং অর্থ, বিদ্যা, যশ, মর্যাদা, প্রতিপত্তি অর্জন করতে পরিশ্রম করতে হয়। আর নিরলস শ্রমের মধ্য দিয়ে যে কর্মযজ্ঞ তৈরি হয়, তাই সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে মানুষকে সহায়তা করে। তাই শ্রমই হলো সফলতার বীজমন্ত্র। পৃথিবীর নানা জাতির সফলতার ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে আমাদের সামনে পরিশ্রম ব্যতীত অন্য কোনো কারণ খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। পৃথিবীর বুকে প্রচণ্ডবেগে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সূত্র- পরিশ্রম। পরিশ্রমের অনন্য দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়- জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে। কিন্তু আমাদের দেশে আজও পরিশ্রমকে তেমন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না। বিশেষ করে কায়িক পরিশ্রমকে অত্যন্ত অমর্যাদাকর হিসেবে দেখা হয় । ‘কৃষি প্রধান দেশ’ হলেও এখনো এদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এক্ষেত্রে শ্রম-দিতে প্রচণ্ড লজ্জাবোধ করে । যদিও ইদানীং কিছু শিক্ষিত যুবক কৃষিতে শ্রম দিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন, তথাপি আনুপাতিক হারে এ সংখ্যা নগণ্য।
একমাত্র পরিশ্রমই পারে সোনার বাংলা গড়তে । পরিশ্রমই পারে যেকোনো ব্যক্তির জীবন বদলে দিতে । ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রমই যেকোনো জাতির সৌভাগ্য সূচিত করে । সুতরাং সৌভাগ্যের জন্য নিরন্তর পরিশ্রমই হোক প্রতিটি মানুষের আরাধনা।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ – এসএসসি
মূলভাব: শ্বাপদসংকুল পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার পেছনে রয়েছে মানুষের পরিশ্রম। পরিশ্রম ভিন্ন কোনো দেশ-জাতি উন্নতি করতে পারে না। পরিশ্রমে আসে অর্জন। পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই মানুষ তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায়।
ভাবসম্প্রসারণ: কোনো কিছু অর্জনের পেছনে রয়েছে নিরলস পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনা। সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধময় জীবনের চাবিকাঠি পরিশ্রম। ভাগ্যোন্নয়নের উপায়ের অপর নাম পরিশ্রম। পরিশ্রম ভিন্ন কোনো কাজ সম্পন্ন হয় না। পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত জাতির ইতিহাস লেখা হয়েছে পরিশ্রমের বদৌলতে। শ্রমবিমুখ জাতি রয়ে যায় অন্ধকারে। তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতির শির ততটা উন্নত। আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়ে কোনো ব্যক্তি বা জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছেনি। নিরলস শ্রমে- ঘামে যে কর্মযজ্ঞ তারই পুরস্কার হচ্ছে সাফল্য- উন্নতি। জীবন চলার পথ অমসৃণ। বন্ধুর পথ অতিক্রম করে উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছবার একমাত্র মন্ত্র হচ্ছে পরিশ্রম। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশ যার চাক্ষুষ দৃষ্টান্ত। তাছাড়া স্মরণীয়-বরণীয় মনীষীদের জীবন পর্যালোচনা করলে জানা যায়- তাদের সাফল্যের মূলে ছিল নিরলস কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়।
পৃথিবীর সেই আদিম অবস্থা পরিবর্তিত হতে হতে আজকের যে সভ্যতা- এর মূলে রয়েছে পরিশ্রম। যে কর্মঠ ও পরিশ্রমী, সে এক দণ্ডও বিনা কাজে বসে থাকতে পারে না। মানুষ তার এই স্বভাবের বদৌলতে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলেছে। মানুষ তার নিজের জীবনে যেমন উন্নতি চায়, তেমনি গোটা মানবজীবনকেও উন্নত করতে চায়। সে চায় উন্নত সমাজ, উন্নত বিশ্ব। আর এ উন্নতির পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। পরিশ্রম অনুযায়ী প্রাপ্তি মেলে। সেই আদিম মানুষ যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকত তাহলে আজকের এই উন্নত বিশ্বের মুখ আমরা দেখতে পেতাম না। মানুষ নিরন্তর পরিশ্রম করছে, আর স্পর্শ করছে সৌভাগ্যের এক এক স্তম্ভকে। সহজে জীবনে কিছুই মেলে না। কেবল পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। জীবনে যারাই যে দিক দিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন- তাদের সফলতার মূলে রয়েছে কঠিন পরিশ্রম। ব্যক্তিজীবন কি সমাজজীবনের যেখানেই পরিশ্রমের স্থলে অলসতা দেখা দেবে তখনই জীবন ধসে পড়বে। কেবল পরিশ্রমই পারে জীবনের ভিতকে শক্ত করে গড়তে, এর কোনো বিকল্প নেই। মূলত, পরিশ্রমই সকল সফলতার মূলসূত্র।
মন্তব্য: মানুষের খ্যাতি ও সমৃদ্ধি এবং জাতীয় জীবনের উন্নতি- সবই পরিশ্রমের রক্তাক্ত ফসল।
আরো দেখুন: পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না ভাব সম্প্রসারণ
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ – এইচএসসি
ভাবসম্প্রসারণ: পৃথিবীতে মানুষ সৌভাগ্য নিয়ে জন্ম নেয় না, তাকে ভাগ্য গড়ে নিতে হয়। সৌভাগ্যবান হতে সকলেই চায়, কিন্তু সৌভাগ্য অর্জন করা সহজ কাজ নয়। একে অর্জন করতে হয়, নিরলস শ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনা দ্বারা । পরিশ্রম মূলত সৌভাগ্যের জন্মদাতা। বাস্তব জীবনে আপাতদৃষ্টিতে যাকে সৌভাগ্য বলে মনে হয় তা আসলে মানুষের উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমেরই সমারোহ।
মানুষ কর্মফলভোগী বলে সে কর্মফল এড়াতে পারে না। ভাল কাজের ভাল ফল মন্দ কাজের জন্য মন্দ ফল- এটাই জগৎ সংসারের নিয়ম। এই নিয়মের বাঁধনে বাঁধা শৃঙ্খলার জালে আবদ্ধ এ জগৎ সংসার। মানুষের অনিবার্য পরিণতি তার কর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করা। স্বপ্নলব্ধ অর্থের কল্পকাহিনী দুর্বল কাপুরুষের স্বপ্নবিলাস মাত্র। বাস্তবে কখনও ঘটাতে পারে না। পৃথিবীতে এমন কোন বিষয় বা বস্তু নেই যা শ্রম বা কর্মলব্ধ নয় । আমাদেরকে উন্নত জীবনে উন্নীত করতে হলে, জীবনযাত্রার মান বাড়াতে হলে, জীবনকে সুখী করতে হলে কর্মের বিকল্প কোন পথ নেই । জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি অর্জন করতে হলে তার জন্যে চাই পরিশ্রম। কর্মসাধনার মাধ্যমেই জীবনে সফলতার স্বর্ণদুয়ারে পৌছানো সম্ভব।
তাই শ্রমেই সফলতা, শ্রমেই সুখ, শ্রমই জীবন। বাস্তব জীবনে আপাতদৃষ্টিতে যাকে সৌভাগ্য বলে আমরা মনে করি তা আসলে উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমেরই সমারোহে ঘটে থাকে। আধুনিক বিশ্বে প্রত্যেকটি উন্নত জাতির উন্নয়নের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা প্রত্যেকেই নিরন্তর প্রচেষ্টা ও শ্রমসাধনার বিনিময়ে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করতে সক্ষম হয়েছে। এক সময়ের অনুন্নত দেশ জাপান আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে উন্নত দেশ হিসেবে। শুধু নিজেদের একাগ্রতা ও শ্রমের বিনিময়ে। শ্রমশক্তির মাধ্যমেই জীবনে অর্জিত হয় কাঙ্খিত সাফল্য, স্থিতি ও পরিপূর্ণতা। নিরলস শ্রম সাধনায় সাফল্য অর্জন করে জীবজগতের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের আসন দখল করেেেছ। বন্য মানুষ থেকে সভ্য মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। সুতরাং জীবনকে সুষ্ঠুভাবে, স্বাভাবিকভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে শ্রম ব্যতীত অন্য কোন সহজ পথ নেই।
শ্রমকে উন্নতির চাবিকাঠি বলা যায়। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত উন্নত। বাংলাদেশের মানুষ মূলত অসৎ এবং শ্রমবিমুখ বলে স্বাধীনতার এত বছর পরেও বাংলাদেশ এখনও অনুন্নত রয়ে গেছে। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রম এবং সাধনাই জাতির সৌভাগ্যের নিয়ামক হতে পারে। সৌভাগ্যের সূচনার জন্য তাই মানুষের নিরন্তর পরিশ্রম করা প্রয়োজন । তাহলেই সৌভাগ্যবান হওয়া যাবে।
আশা করি এই ভাবসম্প্রসারণটি এখানে দেখার পর তোমাদের আর কোথাও খুজতে হবে না, কারণ যত ধরণের ভ্যারিয়্যান্ট দেয়া সম্ভব আমরা এখানে দিয়ে দিয়েছি।




