ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ – ক্লাস ৬,৭,৮, এসএসসি, এইচএসসি

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ ক্লাস ৬, ৭, ৮, এসএসসি ও এইচএসসি: হ্যালো শিক্ষার্থী ভাই-বোনেরা আজকে আমরা শিখবো কিভাবে ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণটি পরীক্ষায় লিখতে হবে। তাই আজকে ৪টি নমুনাসহ হাজির হয়েছি। তোমরা তোমাদের ক্লাস অনুযায়ী যেই লেখা সহজ লাগে সেটাই শিখবে। তাহলে এখনি শুরু করে দাও।

পোস্টের বিষয়বস্তুভাবসম্প্রসারণ লিখন
ভাবসম্প্রসারণ শিরোনামভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
প্রযোজ্য শ্রেণিসমূহক্লাস ৬, ৭, ৮, এসএসসি, এইচএসসি
নমুনা দেয়া আছে৪টি (১টি স্যাম্পল ছবিসহ)

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ – ক্লাস ৬

ভাব-সম্প্রসারণ : ত্যাগ করতে না পারলে ভোগ করে আনন্দ পাওয়া যায় না। স্বার্থপরতা, ভোগাকাঙ্ক্ষা বা আত্মসুখপরায়ণতা মনুষ্যত্বের পরিপন্থী। ত্যাগের মাধ্যমেই মনুষ্যত্বের প্রকাশ ঘটে, যা অনাবিল আনন্দের উৎস। যে ব্যক্তি শুধু নিজের স্বার্থচিন্তায় তৎপর, নিজের ভোগবিলাসে নিমজ্জিত, জগৎ ও জীবনের বৃহত্তর আহ্বান থেকে সে স্বেচ্ছা নির্বাসিত। জগদ্বাসীর ভালো-মন্দ, দুঃখ-মঙ্গল-অমঙ্গল তার হৃদয়কে স্পর্শ করে না, এ পৃথিবীর আলো-আঁধার তার মানসরাজ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। বিরাট এ জগৎ-সংসারের কল্যাণ-অকল্যাণ সম্পর্কে সে একান্ত নির্লিপ্ত ও উদাসীন, তার মানব জনম বৃথা। তার বেঁচে থাকা না থাকা সমান। কেননা জীবনের সার্থকতা তথা মনুষ্য জন্মের সফলতা কখনো স্বার্থপরতায় নিহিত নয়। মানুষের যে দুর্বলতাগুলো তাকে এগুলির সৃষ্টির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করে – তাই মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্বের সার্থকতা, জাগ্রত বিবেকের শত ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করা। অপরপ্রাণীর প্রতি সহজাত মমত্ববোধ মানুষকে মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত করে তোলে। তাই মানুষকে হতে হয় অপরীর হিতৈষী। আত্মসুখ বিসর্জন দিয়ে পরের কল্যাণে নিজেকে একাত্মতার বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। ভোগ মানুষকে অবসন্ন করে তার চিন্তাশক্তিকে ভোঁতা করে ও জীবনকে হীনতার অভিশাপযুক্ত করে। অন্যদিকে ত্যাগের মধ্যেই পরম শান্তি লাভ করা যায়, জীবনকে গৌরবান্বিত করে তোলা যায়।

ত্যাগ মানুষের পরম লক্ষ্য হওয়া উচিত। ভোগীকে কেউ মনে রাখে না, মনে রাখে ত্যাগীকে। কাজেই আমাদেরকে ভোগের মনোভার বিসর্জন দিয়ে, মনুষ্যত্বের বিকাশের মাধ্যমে প্রকৃত ত্যাগী হয়ে উঠতে হবে।

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ – ক্লাস ৭, ৮, ৯

ভাব-সম্প্রসারণ: ত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। ভোগের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয় ব্যক্তির লোভ-লালসা। তাই ভোগ নয়, ত্যাগের চর্চাই মানুষের সুন্দর গুণাবলিকে উৎকর্ষ দান করে।

ভোগ ও ত্যাগ দুটি বিপরীত বিষয়। মানুষ ইন্দ্রিয় সুখের আশায় ভোগে মত্ত হয়; অন্যদিকে মানসিক তৃপ্তির আশায় ত্যাগ স্বীকার করে। ভোগ সামরিক সুখ আনতে পারে। তবে যিনি ত্যাগে কুণ্ঠিত হন না, তিনি অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। ভোগের নিমিত্বে মানুষ জড়িয়ে যায় পঙ্কিলতায় – হিংসা, ঘৃণা, স্বার্থপরতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে আপন করে নেয়। ভোগবাদী মানুষ তাদের সম্পদ কখনো পরার্থে ব্যয় করে না, পরের দুঃখে কাতর হয় না; বরং হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সুযোগের সন্ধান করে। মানবিকতা ও পরার্থপরতা তাদের কাছে অর্থহীন। তাই সমাজের মানুষের কাছেও তাদের কোনো মর্যাদা থাকে না। তারা জনগণতন্ত্রবি মানুষ হলেও তাদের মনুষ্যত্ব আসলে বিকশিত হয় না। আবার কিছু মানুষ ভোগের চেয়ে ত্যাগকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মানুষের বিপদে তাঁরা ছুটে যান, নিজের সুবিধার কথা না ভেবে বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভাবেন, দুঃখীজনের দুঃখ দূর করতে নিজের সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পান। ভোগবাদী মানুষের ভ্রান্ত ধারণা – ভোগের মধ্যেই সকল সুখ। তাই তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে বিলাস-ব্যসনে মত্ত হয়। তারা ভোগের মাধ্যমে সুখী হতে চায় বটে, তবে তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পায় না। বরং যেসব মানুষ নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকেন, তাঁদের দ্বারা সমাজ যেমন উপকৃত হয়, তাঁরা নিজেরাও এসব কাজের মধ্যে দিয়ে অনাবিল আনন্দ লাভ করেন।

ত্যাগের মহিমা অসীম। মনুষ্যত্ব বিকাশে ত্যাগের চর্চার কোনো বিকল্প নেই। ভোগ মনুষ্যত্বকে লজ্জা ও হীনতায় ডুবিয়ে রাখে।

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ – এসএসসি

সম্প্রসারিত ভাব: ভোগ-বিলাসিতার মধ্যে নয়, বরং ত্যাগের মধ্যে নিহিত থাকে মনুষ্যত্ব। তাই ত্যাগই হোক জীবন-সাধনার মূলমন্ত্র। ভোগ ও ত্যাগ বিপরীতমুখী দুটি সত্তা। অথচ মানুষের মধ্যে দুটি সত্তাই বিদ্যমান। আর ভোগ ও ত্যাগের দুয়ার সবার জন্য খোলা। মানুষ ভোগের মধ্য দিয়ে ক্ষণিকের আনন্দ পায় বটে; কিন্তু সে আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী নয়। আর ভোগে তৃপ্তির অভার থাকে । অন্যদিকে, ত্যাগে থাকে স্থায়ী আনন্দ আর অপরিসীম তৃপ্তি। ভোগ মানুষকে দৈহিকভাবে সবল করলেও ত্যাগ মানুষকে নৈতিক শক্তি সঞ্চার করে রাখে প্রাণবন্ত এবং সতেজ । সুতরাং মনুষ্যত্বের প্রয়োজনে ত্যাগের সাধনা হওয়া উচিত। পৃথিবীতে মানুষ শুধু জন্ম নিলেই মানুষ হয় না; বরং ত্যাগই মানুষকে তার যথার্থ পরিচয় দিতে পারে । অন্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য এই যে, মানুষ ত্যাগ করতে পারে । আর ত্যাগেই গড়ে ওঠে মনুষ্যত্ব- এখানেই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। অন্যদিকে, ভোগের মধ্য দিয়ে মানুষ নানাবিধ পাপ-পঙ্কিলতা, গ্লানি আর কালিমায় জড়িয়ে পড়ে। ভোগবাদী মানুষ স্বার্থবাদী হতে বাধ্য; কেননা ত্যাগ ছাড়া পরোপকার সম্ভব নয়, অন্যের মঙ্গল কামনাও সম্ভব নয়।

সুতরাং ভোগের চর্চা একটি সমাজে ক্রমশ জন্ম দেয় দুর্নীতি, চৌর্যবৃত্তিসহ নানাবিধ অরাজকতা । আধুনিক বিশ্ব যতই সভ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষের ভোগের মাত্রা ততই বেড়ে যাচ্ছে । এ দৃষ্টান্ত মোটেই সুখকর নয়। বরং বৃহত্তর কল্যাণে ত্যাগের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কিন্তু পৃথিবী প্রতিনিয়ত নানা প্রচার- প্রচারণায় ভোগের বিষয়কে প্রাধান্য দেয়। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যাপক বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে তাদের ভোগ্যপণ্যকে যেমন দ্রুত ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তেমনই ভোগবাদী সমাজ বিভিন্ন কৌশলে ভোগের বিষয়াদিকে উৎসাহিত করছে। বাহ্যিক দিক থেকে যেমন মাত্রাতিরিক্ত ভোগ মানবদেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে তেমনই শুধু ভোগ মানুষের মনুষ্যত্বকে পঙ্গু করে দেয়। মানুষ তখন নিজের সুখ আর আরাম-আয়েসকে মুখ্য করে দেখে। মানুষের সমস্ত গুণ বিকশিত হতে ভোগাসক্ত জীবন মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায় । কিন্তু মানুষের জন্ম তো শুধু নিজের আরাম-আয়েসকে লক্ষ করেই নয়; তাকে ভাবতে হবে পরিব- দুঃখী মানুষের কথা, পরোপকারের কথা, সমাজের হিত সাধনের কথা- তবেই তো সার্থক মানবজনম। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপটে মানুষ নিজ সুখের জন্য বিলাস-ব্যসনে এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠেছে যে সেখানে সত্যিকারের সুখ খুঁজে পায় না।

বস্তুত ভোগই যদি প্রকৃত সুখের সন্ধান দিত তাহলে পৃথিবীতে একমাত্র বিত্তবান ও ক্ষমতাবানরাই সবচেয়ে বেশি সুখী হতো । কিন্তু তা নয়। প্রকৃত ত্যাগের মধ্যে থাকে সুখের পরমানন্দ । ত্যাগের মধ্য দিয়ে পাওয়া যায় মহৎকর্মের অনুপ্রেরণা । ইসলাম ধর্মের সিয়াম সাধনা, হিন্দু ও খ্রিষ্ট ধর্মে উপোস- ত্যাগেরই মহান শিক্ষা দেয় বলে মানুষ এগুলো শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে । অন্যদিকে, মানুষের কল্যাণে কত গুণীজন আপন জীবন উৎসর্গ করেছেন । তাঁদের এরূপ জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। ত্যাগই দিতে পারে মনুষ্যত্ব বিকাশের সমস্ত উপকরণ । আর মনুষ্যত্বেই আছে মানুষের প্রকৃত সুখ । সুতরাং ভোগ নয় ত্যাগই প্রতিটি মানুষের সাধনা হোক।

এছাড়াও দেখতে পারেনঃ লোভে পাপ পাপে মৃত্য ভাবসম্প্রসারণ

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ – এইচএসসি

মূলভাব: ভোগের মধ্যে সুখ নেই বরং ত্যাগের মধ্যেই প্রকৃত সুখ। ত্যাগের মহিমাই পারে মানুষের মহাপরিচালক মনুষ্যত্বের উৎকর্ষ ও বিকাশ ঘটাতে। ত্যাগের মাধ্যমে সম্পদ চলে গেলেও ফিরে আসে আনন্দ, ভ্রাতৃত্ব আর মনুষ্যত্ব। ত্যাগের মধ্যেই মানব জীবনের সার্থকতা, তাই ত্যাগই মানুষের একমাত্র আদর্শ হওয়া উচিত ।

সম্প্রসারিত ভাব: জগত সংসারে ভোগ আর ত্যাগ দুটি বিপরীতমুখী দিক হওয়া সত্ত্বেও ভোগ ও ত্যাগের দরজা সবার জন্যেই উম্মুক্ত। ভোগের মধ্যে মানুষ আনন্দ পেলেও প্রকৃতপক্ষে তৃপ্তি পায় না, বরং ত্যাগের মাধ্যমে আনন্দ ও তৃপ্তি দুটোই লাভ করা যায় । তাই ভোগ নয়, ত্যাগই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত । ত্যাগ মনুষ্যত্বকে বিকশিত করে বলেই মনুষ্যত্বের কল্যাণে মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা ও শ্রেষ্ঠ। শুধু মানব হিসেবে জন্ম নিলেই মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় না। মানুষকে স্বীয় চেষ্টায় এ মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হয়। মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। ভোগের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে না, বরং ভোগ মানুষকে জড়িয়ে ফেলে পঙ্কিলতা, গ্লানি ও কালিমার সাথে। তাদের অর্জিত সম্পদ নিজের স্বার্থ ব্যতীত সমাজের অন্য কোন কাজে আসে না। তাই, পরের দুঃখে তাদের হৃদয়-মনও কাঁদেনা। তারা স্বার্থান্ধ ও সংকীর্ণচিত্ত বলে সমাজে মর্যাদাহীন।

ত্যাগ মানুষকে নিয়ে যায় মনুষ্যত্বের উদার ভূমিতে। পরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আদর্শ ও উদ্দেশ্য মনুষ্যত্বের মধ্যেই নিহিত থাকে । মনুষ্যত্বের গুণে মানুষ নিজের স্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে পরার্থে দীন দুঃখীদের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পায়। স্বামী বিবেকানন্দ, মাদার তেরেসা, প্রমুখ ব্যক্তিদের চরিত্র ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । ত্যাগের মাধ্যমেই তাঁদের মনুষ্যত্ব তথা মানবিক গুনাবলী ফুটে উঠেছে। ভোগও সুখ নিয়ে মানুষের নানারকম ধারণা। সুখের জন্য অনেকেই বিলাস-ব্যসনে মত্ত হয়ে ওঠে এবং ভোগ-বিলাসের নানা উপকরণের আয়োজন করে। কিন্তু কোনভাবেই ভোগাকীর্ণ জীবন সুখের সন্ধান পায় না। কেননা ভোগই যদি সুখের আকর হতো তবে বিত্ত ও ক্ষমতাবানরাই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী বলে গণ্য হতেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এঁরাও জীবনে প্রকৃত সুখী হতে পারেন না।

শেষকথা: তাই, একমাত্র মহৎ কর্মের মধ্য দিয়েই সুখ পাওয়া যায়। দেশব্রতী, মানব্রতী কর্মেই মানুষ লাভ করে জীবনের সার্থকতা। দেশের জন্যে মানবতার জন্যে যাঁরা আত্মত্যাগ করেন তাঁদের মত সুখী আর কে আছে? বস্তুত পরের জন্যে স্বার্থ ত্যাগ করার মধ্যেই মানুষের গুণাবলীর শ্রেষ্ঠ প্রকাশ ঘটে। এ জীবনের পরম শান্তি ‘দেবে আর নেবে’ মিলাবে মিলিবে’র মধ্যে নিহিত। আমি অট্টালিকায় বসবাসকারী কুলীন হলেও পথপাশের পাতার ছাউনিতে বসবাসকারী আমার অন্য কোন ভাইকে দেখে আমার নির্দ্বিধায় বলা উচিত, ‘আমার ঐ ঘরে ছিল তোমারও দাবি।’ মহান ইসলাম ধর্মেও ওই একই কথা বলে, ধনীদের ধনসম্পদে গরিবদের হক রয়েছে।

ভাব সম্প্রসারণ ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ – আশা করি তোমাদের উপকারে এসেছে, কোন মতামত থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top